ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজার শহরে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া’, ছাত্রলীগনেতা বহিষ্কার।
গতকাল
মঙ্গলবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ।
ক’ক্স’বা”জা’র-শহরে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। অস্ত্রের মহড়া দেখে হতবাক শহরবাসী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া এলাকায় দুই পক্ষ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ছা’ত্র’লী’গ ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে শেষ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানসহ দলীয় নেতারাসহ পুলিশ হস্তক্ষেপ করেন। নিকট অতীতে কক্সবাজার শহরে দিন-দুপুরে এভাবে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি।
জানা যায়, জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় আজ বুধবার সকালে ছাত্রলীগের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর নাম রিদুয়ান আলী সাজিন। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইকবাল রিপন ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আজমের যৌথ স্বাক্ষরে রিদুয়ান আলী সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহর শাখার আওতাধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রিদুয়ান আলী সাজিনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়ারছড়া শিল্প এলাকার ঠোঁটিয়াপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। ওই ঘটনায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গিয়ে এক পক্ষে অবস্থান নেন রিদুয়ান আলী সাজিন। তিনি প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি বর্ষণ করেন। সাজিন ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বর্ষণের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়।
তবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে তাদের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।